ক্যাপিটাল ইকোনমিকসের বিশ্লেষকরা আগামি বছরের বৈশ্বিক অর্থনীতি নিয়ে আশাবাদী। তারা "পরিমিত মাত্রায়" বৈশ্বিক জিডিপি প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস দিয়েছেন। তারা উল্লেখ করেছেন যে, সামান্য প্রবৃদ্ধিও ইতিবাচক সংকেত হিসেবে বিবেচনা করা হবে।

২০২৫ সালে, বিশ্বজুড়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো মুদ্রানীতি স্বাভাবিক করার প্রক্রিয়া চালিয়ে যাবে। বৈশ্বিক অর্থনীতির জন্য একটি উল্লেখযোগ্য এবং চ্যালেঞ্জিং বিষয় হবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রতিশ্রুত শুল্কের সম্ভাব্য প্রভাব। ক্যাপিটাল ইকোনমিকসের মুদ্রা কৌশলবিদদের মতে, ২০২৫ সালে এই শুল্কগুলোর প্রভাব সীমিত থাকবে, তবে এর গুরুত্বপূর্ণ প্রভাবগুলো ২০২৬ সালে স্পষ্ট হতে পারে।

আগামী বছরে ভূ-রাজনৈতিক বিষয় গুলো প্রধান আলোচ্য বিষয় হয়ে উঠবে, যদিও এর অর্থনৈতিক প্রভাব কয়েক বছরের মধ্যে প্রকাশ পাবে।

২০২৫ সালে মার্কিন অর্থনীতি কিছুটা অস্থির থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ক্যাপিটাল ইকোনমিকস পূর্বাভাস দিয়েছে যে, ট্রাম্প প্রশাসনের নীতিগুলো বার্ষিক জিডিপি প্রবৃদ্ধিকে ১.৫%-এ সীমাবদ্ধ করতে পারে। এর ফলে সাময়িকভাবে মুদ্রাস্ফীতি ৩%-এ পৌঁছাতে পারে।

ক্যাপিটাল ইকোনমিকস আরও পূর্বাভাস দিয়েছে যে, ফেডারেল রিজার্ভ ২০২৫ সালের প্রথমার্ধে দুইবার সুদের হার কমাবে, যেখানে ফেডারেল রিজার্ভের সুদের হারের লক্ষ্যমাত্রা ৩.৭৫% থেকে ৪.০০% এর মধ্যে থাকবে।

ইউরোজোনে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি মন্থর হওয়ার এবং মুদ্রাস্ফীতি ২% এর লক্ষ্যমাত্রার নিচে নেমে যাওয়ার পূর্বাভাস রয়েছে। এটি সম্ভবত ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংককে সুদের হার আরও কমাতে প্ররোচিত করবে।

যুক্তরাজ্যের অর্থনীতির ক্ষেত্রে, ক্যাপিটাল ইকোনমিকস অভ্যন্তরীণ চ্যালেঞ্জ এবং ম্লান সম্ভাবনা সত্ত্বেও অর্থনৈতিক পরিস্থিতির সামান্য পুনরুদ্ধারের আশা করছে।

এশীয় দেশগুলোর বিষয়ে, চীনের অর্থনৈতিক কার্যকলাপ উদ্দীপিত করতে তার মুদ্রানীতি আরও নমনীয় করা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে ২০২৫ সালে, বাহ্যিক পরিস্থিতির চ্যালেঞ্জ এবং আবাসন খাতে পতন অব্যাহত থাকায় চীনের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি শ্লথ হবে বলে বিশেষজ্ঞরা ধারণা করছে।

ভারতের অর্থনীতির সাম্প্রতিক শক্তিশালী পারফরম্যান্সের পর ২০২৫ সালে "পরিমিত প্রবৃদ্ধি" দেখা যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংক তুলনামূলক কম সীমাবদ্ধ মুদ্রানীতি গ্রহণ করতে পারে। অন্য এশীয় অঞ্চলে দুর্বল জিডিপি প্রবৃদ্ধি এবং নিম্ন মুদ্রাস্ফীতির পূর্বাভাস রয়েছে।

ক্যাপিটাল ইকোনমিকস আরও পূর্বাভাস দিয়েছে যে, ২০২৫ সালে বেশিরভাগ জ্বালানি এবং শিল্প ধাতুর দরপতন ঘটবে। এর পেছনে "কাঠামোগত চাহিদার সীমাবদ্ধতা" এবং সরবরাহ বৃদ্ধির প্রভাব থাকবে।