চীনের জাতীয় অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে দেশটির কর্তৃপক্ষ বেশ উদ্বিগ্ন! দেশটির প্রধান কর্তাব্যক্তিরা তাদের অর্থনীতিকে ইতিবাচক রাখতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে। ডিসেম্বরে পলিটব্যুরো এবং সেন্ট্রাল ইকোনমিক ওয়ার্ক কনফারেন্স (সিইডব্লিউসি)-এর বৈঠকে দেশটির বাজেট ঘাটতি জিডিপির ৪%-এ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর ফলে ২০২৫ সালে এই ঘাটতির হার রেকর্ড সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছাবে।

এই সিইডব্লিউসি সিদ্ধান্ত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বজায় রাখতে প্রয়োজনীয় রাজস্ব নীতিকে শক্তিশালী করার পরিকল্পনার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। একই সঙ্গে, বিশ্লেষকরা আশা করছেন চীনের মুদ্রানীতি মধ্যম মাত্রায় নমনীয় থাকবে।

নতুন বাজেট ঘাটতির লক্ষ্যমাত্রা পূর্বে নির্ধারিত জিডিপির ৩%-এর তুলনায় উল্লেখযোগ্য বেশি। অতিরিক্ত ব্যয়, যা ১.৩ ট্রিলিয়ন ইউয়ান ($১৭৯.৪ বিলিয়ন) সমতুল্য, বিশেষ অফ-বাজেট বন্ড ইস্যুর মাধ্যমে আংশিকভাবে অর্থায়ন করা হবে।

চীন তার ৫% অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রায় অটল রয়েছে, যা ২০২৪ সালের স্তরের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ, যদিও চলমান অর্থনৈতিক সমস্যাগুলো বিদ্যমান রয়েচজে। এর মধ্যে রয়েছে আবাসন বাজারের সংকট এবং দুর্বল অভ্যন্তরীণ চাহিদা।

সিইডব্লিউসি-র অধিবেশনে কর্মকর্তারা স্থিতিশীল অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিয়েছেন, যা রাজস্ব এবং মুদ্রানীতিগত ব্যবস্থার মাধ্যমে সমর্থন পাবে। এই পদক্ষেপগুলো চীনের অর্থনীতিকে স্থিতিশীল করতে সাহায্য করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

বর্তমানে চীনের অর্থনীতি বাহ্যিক ঝুঁকির মুখোমুখি। বিশেষ উদ্বেগের বিষয় হলো নির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রতিশ্রুত ৬০% শুল্ক, যা চীনা পণ্যের উপর আরোপিত হতে পারে। বিশ্লেষকরা সতর্ক করেছেন যে এমন ব্যবস্থা চীনা রপ্তানিকারকদের মুনাফা কমাতে, অতিরিক্ত উৎপাদন সক্ষমতার সমস্যা বাড়াতে এবং অর্থনৈতিক সম্প্রসারণকে ধীর করতে পারে।

বর্তমানে বেইজিং বাহ্যিক চাপ মোকাবিলায় রাজস্ব উদ্দীপনার উপর নির্ভর করছে। এদিকে, সিইডব্লিউসি-র প্রতিবেদনের মতে, চীনা কর্তৃপক্ষ বিনিময় হার সমন্বয়সহ অন্যান্য আর্থিক সরঞ্জামের অনুসন্ধান করছে।