ওয়াল স্ট্রিটের বিশ্লেষকরা ২০২৫ সালে মার্কেটে বুলিশ প্রবণতার প্রত্যাবর্তনের আশায় উদগ্রীব, তবে একই সঙ্গে তারা ডোনাল্ড ট্রাম্পের পুনরায় নির্বাচিত হওয়ার বিষয়টি নিয়েও কিছুটা উদ্বিগ্ন। তা সত্ত্বেও, শীর্ষ বিনিয়োগ ব্যাংকের বিশেষজ্ঞরা আশাবাদী রয়েছেন! তারা ২০২৫ সালে মার্কিন শেয়ারবাজার এবং বন্ড মার্কেটের সম্ভাবনা নিয়ে বেশ উচ্ছ্বসিত, যদিও কিছুটা অনিশ্চয়তা বিরাজমান।

প্রাথমিক পূর্বাভাসে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে, আগামী বছর শেয়ারবাজারে বড় ধরনের উত্থান ঘটবে। তবে, রিপাবলিকানদের বাণিজ্যনীতি, যেমন কর এবং শুল্কের পরিবর্তন, অর্থনৈতিক পরিস্থিতিকে প্রভাবিত করতে পারে।

বন্ড মার্কেটের ক্ষেত্রে, ওয়াল স্ট্রিটের বিশ্লেষকরা পূর্বাভাস দিচ্ছেন যে ২০২৫ সালের প্রথমার্ধে মার্কিন ট্রেজারি বন্ডের ইয়েল্ড বা লভ্যাংশ কমবে, কারণ মুদ্রাস্ফীতি মন্থর হবে। তবে পূর্বাভাসে বড় পার্থক্য রয়েছে। যেমন, মরগ্যান স্ট্যানলি বন্ডের লভ্যাংশ ৩.৬%-এ পতনের আশা করছে, আর ডয়েচ ব্যাংক লভ্যাংশ বৃদ্ধির সম্ভাবনা দেখছে। ফেডারেল রিজার্ভের ভবিষ্যৎ পদক্ষেপগুলো এই অনিশ্চয়তা বাড়িয়েছে, কারণ ২০২৫ সালের মাঝামাঝি সময়ে সুদের হার কমানোর পূর্বাভাস রয়েছে।

শেয়ারবাজারের ক্ষেত্রে, বেশিরভাগ বিশেষজ্ঞ এসঅ্যান্ডপি ৫০০ সূচকে প্রবৃদ্ধি আশা করছেন। তবে, বার্ষিক প্রবৃদ্ধি ১১%-এর বদলে ১০%-এ সীমাবদ্ধ থাকতে পারে। অন্যদিকে, স্বর্ণের উজ্জ্বল পরিস্থিতি বিরাজ করবে বলে পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে। বিশ্লেষকরা আশা করছেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর স্বর্ণের মজুত বৃদ্ধির কারণে এতির দাম আউন্সপ্রতি $৩,০০০-এ পৌঁছাবে।

এদিকে, তেলের দাম কমার সম্ভাবনা রয়েছে। বেশিরভাগ বিশ্লেষকের মতে, ২০২৫ সালের শেষ নাগাদ ব্রেন্ট ক্রুডের দাম ব্যারেলপ্রতি $৭০-এ নেমে আসতে পারে।

মার্কিন ডলারের দিকে বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে। ওয়াল স্ট্রিটের বিশ্লেষকরা পূর্বাভাস দিচ্ছে যে ট্রাম্পের আর্থিক নীতিমালার কারণে ডলার আরও শক্তিশালী হবে। ডয়েচ ব্যাংকের মুদ্রা কৌশলবিদরা এমনকি ডলার-ইউরোর মূল্যের সমতার সম্ভাবনা দেখছেন। তবে, এখানে একটি ভিন্নমত আছে, কারণ ব্যাংক অফ আমেরিকা (বোফা) আশা করছে ডলার ২০২৫ সালের শেষ নাগাদ দুর্বল হতে পারে। শেষ পর্যন্ত, ডলারের ভবিষ্যৎ ট্রাম্পের কর এবং শুল্ক সম্পর্কিত সিদ্ধান্তগুলোর উপর নির্ভর করবে।