উলফ রিসার্চের বিশ্লেষকরা বেশ কিছু আগ্রহজনক বিষয় আবিষ্কার করেছেন! তারা ২০২৫ সালের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বলে ধারণাকৃত “ট্রেডিংয়ে ট্রাম্পের প্রভাব”-এর তিনটি স্পষ্ট ধাপ নির্ধারণ করেছেন।

বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ধাপগুলো মার্কেটে ট্রেডিং কৌশলের পরিবর্তনকে প্রতিফলিত করে এবং বিনিয়োগকারীদের নতুন মার্কিন প্রশাসনের রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার ব্যাপারে দিকনির্দেশনা পেতে সাহায্য করবে।

উলফ রিসার্চ পূর্বাভাস দিয়েছে যে আগামী বছরে বিনিয়োগকারীরা “ট্রেডিংয়ে ট্রাম্পের প্রভাব”-এর গতিশীলতাকে মূল্যায়ন করবে। এটি তিনটি ধাপে বিভক্ত। প্রথম ধাপটি নির্বাচনের পরপরই শুরু হয়েছিল এবং সেই সময় আমরা ইতোমধ্যেই পেছনে ফেলে এসেছি।দ্বিতীয় ধাপটি আসবে যখন নির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্টের বিতর্কিত নীতিমালা কার্যকর হতে থাকবে, যা ট্রাম্পের মেয়াদের প্রথম ১০০ দিনে প্রধান আকর্ষণ হয়ে উঠবে। তৃতীয় ধাপে নতুন প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, যা ইঙ্গিত দেবে ট্রাম্পের নীতিমালা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে ত্বরান্বিত করছে নাকি মন্থর করছে।

২০২৫ সালের প্রথমার্ধে অর্থনীতিবিদরা শেয়ারবাজারে ইতিবাচক পরিস্থিতির আশা করছেন। উলফ রিসার্চের বিশ্বাস, ডিফেন্সিভ গ্রোথ স্টকগুলো, যার মধ্যে ম্যাগনিফিসেন্ট সেভেনের প্রযুক্তি জায়ান্টগুলো রয়েছে, নেতৃস্থানীয় অবস্থানে থাকবে। তবে বিনিয়োগকারীরা শুল্ক সংক্রান্ত ঝুঁকি এবং অন্যান্য রাজনৈতিক অজানা বিষয়গুলোর দিকে গভীর নজর রাখবে।২০২৫ সালের দ্বিতীয়ার্ধে, ডেরেগুলেশন এবং বাণিজ্য সংস্কারের মতো নীতিগুলো আরও স্পষ্ট হয়ে উঠবে। উলফ রিসার্চ ধারণা করছে, এই পদক্ষেপগুলো আর্থিক খাত, শিল্প খাত এবং ভোক্তা খাতের স্টকগুলোর জন্য উপকারী হবে।

ট্রাম্পের মেয়াদের শুরুতে, মার্কিন রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা স্টক মার্কেটের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতাকে দমিয়ে রাখতে পারে। কিছু বিনিয়োগকারী দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগের দিকে ঝুঁকতে পারে। উলফ রিসার্চের মতে, গুরুত্বপূর্ণ আইন প্রণয়ন সম্ভবত একটি অনুঘটক হিসেবে কাজ করবে, যা ২০২৫ সালের শেষের দিকে মার্কেটে ট্রেডিং কার্যক্রমকে ত্বরান্বিত করবে।